চকরিয়া প্রতিনিধি :::
চকরিয়ার চিংড়িজোন চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বালুচিরা ঘের জবর-দখল করতে গেলে বিবাদমান দুই ডাকাতদলের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় একপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সর্দার হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী কর্মকা-সহ নানা অপরাধের অভিযোগে ১০ মামলার আসামী নুরুল আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত (৩৫)। এ সময় আহত হয় চিংড়ি ঘেরের মালিক চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মীর কাশেম (৩৫)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌণে একটার দিকে চিংড়িজোনে দুই ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে নিহত ডাকাত সর্দারের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত ডাকাত সর্দার নুরুল আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগর ঘোনা গ্রামের জহির আহমদের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘের দখলে গেলে উভয় ডাকাতদলের মধ্যে আধঘন্টা ধরে চলে ব্যাপক গোলাগুলি। দুইপক্ষের ছোঁড়া অন্তত ৪০ রাউন্ড গুলির শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়। একপর্যায়ে ডাকাত সর্দার নুরুল আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মীর কাশেমের চিংড়িঘেরটি জবর-দখল করার জন্য বিবাদমান দুই ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে আধঘন্টা ধরে চলে বন্দুকযুদ্ধ। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় একপক্ষের ডাকাত সর্দার নুরুল আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাত। এছাড়া গুলিতে আহত হন ঘের মালিক মীর কাশেম।
ওসি বলেন, ‘দুই ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাত সর্দার নুরুল আমিন ওরফে আমিন্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ নানা অপরাধের অভিযোগে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি মামলায় আদালতের পরোয়ানা রয়েছে। অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া ডাকাত সর্দার নাছির উদ্দিনসহ বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
পাঠকের মতামত: